জীবনে যদি উন্নতি পেতে চান তাহলে পড়ালেখার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে পড়ালেখা ছাড়াও তো জীবনে উন্নতি করা সম্ভব। আমিও বলব হ্যাঁ সম্ভব যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয়। কিন্তু শুধুমাত্র মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে আপনি শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করবেন কিভাবে? যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে তাদের মধ্যে এবং একজন অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সেই অশিক্ষিত মানুষটি যতই পরিশ্রম দিয়ে থাকুক না। শিক্ষার গুরুত্ব আছে বলেই বলা হয়েছে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। এর মানে এই দাড়ায় যে শিক্ষা ছাড়া একজন জাতি সভ্য এবং ভদ্র হতে পারেনা কখনোই।
শিক্ষা জিনিসটা খুবই প্রয়োজনীয় আমাদের সবার জীবনের জন্য। আপনি যতটুকু শিক্ষা অর্জন করেন না কেন সেটা শিক্ষা হিসেবেই গণ্য হবে। হতে পারে কেউ মাধ্যমিক পাস করেছে, আবার কেউ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে, আবার অনেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে। কিন্তু এখানে তিনজনই শিক্ষিত ব্যক্তি। এই তিনজনের থেকে কাউকে মূর্খ ব্যক্তি বলা যাবে না কারণ তিনজনেই শিক্ষা কত জ্ঞান অর্জন করেছে কমবেশি করে। জীবনে উন্নতি কিছু করতে হলে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম এটা তো আমি আগেই বললাম। তো আপনার যদি শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে সেটা দিয়ে কোন লাভ হবে না যদি না আপনার পারিবারিক শিক্ষা আপনি পেয়ে থাকেন।
এখানে পারিবারিক শিক্ষা বলতে সুষ্ঠু শিক্ষাকে বোঝানো হয়েছে যেই শিক্ষাগুলো একজন আদর্শ বাবা মা তার সন্তানকে আদর্শ করে গড়ে তোলার জন্য দিয়ে থাকে। তাই শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই হয় না এর পাশাপাশি পারিবারিক সুষ্ঠু শিক্ষাও থাকতে হয় একজন মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠার জন্য। জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমনই একজন মানুষ ছিলেন যিনি পারিবারিক শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষাগত যোগ্যতার সবই অর্জন করেছিলেন নিজ জীবনে।
তিনি আজ এতটা বিখ্যাত একজন মানুষ কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু কেন আজ এতটা বিখ্যাত? তিনি আজ এতটা বিখ্যাত এই জন্য কারণ তিনি বেশ সুকল্যাণ কর কাজ করে গিয়েছেন নিজ দেশ, জাতি এবং সমাজের জন্য।
আর তিনি এই কাজগুলো কিভাবে করেছেন? মহান এই নেতার মন-মানসিকতা বেশ ভালো ছিল বলে তিনি এত ভালো কাজ করতে পেরেছিলেন। না হয় একজন খারাপ মানুষ কখনই সুকল্যাণকর কাজ করতে পারে না। এছাড়া জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তিনি বেশ ভালো করেই জানতেন যে সবার সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত, একজন ভালো মানুষ কিভাবে অন্য মানুষকে ট্রিট করে থাকে।
তাই তিনি সবার সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করতেন। একজন শিক্ষিত মানুষের সব সময় উচিত কখনো অন্যের মনে কষ্ট না দেওয়া। আমরা যখন পড়াশোনা করি তখন থেকেই আমাদেরকে এই শিক্ষাটা দেওয়া হয় যে সবার সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাই বলা হয় একজন শিক্ষিত এবং একজন অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।