মানুষ দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করে, সুষ্ঠু শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠে, এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ে কর্ম জীবনে, তারপর নিজের জীবনকে গোছানোর জন্য সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করে ফেলে, সর্বশেষে এভাবেই একজন মানুষের জীবন অতিবাহিত হয়। কিন্তু এইরকম ভাবে জীবনটা অতিবাহিত হলে আপনি কি কখনো দুনিয়াতে বিখ্যাত হতে পারবেন? পারবেন না কারণ এরকমভাবে কোটি কোটি মানুষ বসবাস করে যাচ্ছে এবং নিজের জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছে। তাহলে কি করলে পুরো দুনিয়া আপনাকে এক নামে এবং এক পরিচয় তে চিনবে?
আপনি যদি বিশেষ কোনো অবদান রাখেন তাহলেই সবাই আপনাকে চিনবে এবং একজন মহান ও বিখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করবে। কারণ আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনি যদি আপনার দেশ বা জাতির জন্য কিছু নাই করেন তাহলে তারা কেন আপনাকে মনে রাখবে। আপনি যদি নিজের সমাজের কোন প্রয়োজনে না আসেন তাহলে কিভাবে আপনি একজন বিখ্যাত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? এটাই তো ভাবছেন? তাহলে আপনার ভাবনাটা ঠিক। একজন বিখ্যাত মানুষ হতে হলে তাকে তার নিজ দেশ জাতি অথবা সমাজের জন্য বিশেষ কোনো অবদান রেখে যেতে হয়।
বাংলাদেশ এমনই একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন যার নাম জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং তিনি তাঁর বিশেষ অবদানের গুলোর জন্য আজও সবার মুখে মুখে পরিচিত এবং বিখ্যাত। জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বেঁচে থাকতে নিজের দেশের জন্য অনেক কিছুই করে গিয়েছেন তার সুবিধা আমরা আজও ভোগ করছি। আসুন আজ আমরা কথা বলি জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বিশেষ কিছু অবদান গুলো নিয়ে।
- মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর মাঝে তিনি তার উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে নিজের বড় ভাইয়ের ব্যবসাতে সাহায্য করেছিলেন। নিজের বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতে করতে তিনি আবারও যুক্ত হয়ে যান বাংলাদেশ আওয়ামি লীগে।
- এরপর ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কিংবদন্তি এই নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরেও আমাদের সবার মহান এই নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং থানা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন।
- ১৯৭০ সালে কিংবদন্তী নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়া এবং আনোয়ারা থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর বাংলার বুকে এলো ভয়ানক এক অধ্যায়। অবশেষে শুরু হলো বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
- ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিল বাংলার হাজারো যুবক, যুবতী, তরূন, তরুণী। মানুষরূপী পশু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা ইজ্জত নিয়ে খেলেছিলো আমাদের মা-বোনের। সমস্ত বাংগালি দের উপরে চালিয়েছিলো নির্মম অত্যাচার এবং পশুর মত নির্যাতন। এমন অসহায় এবং নির্মম অবস্থায় প্রয়োজন ছিলো বেশ কঠোর এবং সাহায্যের হাতের। ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের অসহায় এবং নির্মম পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম এর গর্বিত সন্তান, বাংলাদেশের কিংবদন্তী নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।