রাজনীতির ইতিহাসে আপনারা অনেক মহান মানুষদের কথা জানেন। এমন অনেক মহান মানুষ রাজনীতির ময়দানে ছিল যাদের আজও আমরা ভুলতে পারিনা। কারণ সেই মহান মানুষগুলো রাজনীতির ময়দানে এমন এমন কাজ করে গিয়েছেন যা আজও দৃষ্টান্ত হয়ে আমাদের সবার চোখের সামনে রয়েছে। রাজনীতিতে যেন তারা এক বিশাল চমক এনে দিয়েছিল।
রাজনীতিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করে ছিল নিজেদের মেধা ও শ্রম এর মাধ্যমে। তারা রাজনীতির জন্য এত কিছু করেছেন বলেই আজ তারা মহান রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাজের কাছে এবং দেশের কাছে আখ্যায়িত। আজকাল অনেকেই রাজনীতিতে শুধুমাত্র শখের বশে আছে।
কিন্তু সেই মহান ব্যক্তিরা কখনোই শখের বশে রাজনীতি করেননি বরং তাদের রগে রগে যুক্ত ছিল রাজনীতির জন্য মায়া ভালবাসা এবং মমতা। তাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতিতে নতুন কিছু চমক দেখানো। কারণ তারা ছিলেন একজন সত্য দেশপ্রেমী , তারা নিজের দেশের জন্য নিজের জীবন টা পর্যন্ত দিতেও পিছপা হতেন না।
রাজনীতিতে এমনই এক মহান মানুষ এর সম্পর্কে আমরা জানি যার নাম জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। এই মহান ব্যক্তি টি রাজনীতিতে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে গিয়েছেন রাজনীতির ময়দানে তিনি এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করে গিয়েছেন যে উদাহরণ অনুসরণ করে আজ লাখো লাখো যুবক রাজনীতিতে নামছেন দেশ এবং দেশের জাতির মঙ্গলের জন্য।
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু শুধুমাত্র নিজেই করে গিয়েছেন রাজনীতির জন্য এমনটা নয় তিনি নিজে রাজনীতিতে চমক দেখানোর পাশাপাশি লাখো লাখো যুবকদের অনুপ্রাণিত করে গিয়েছেন যার কারণে আজ তিনি এত মহান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত। জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছিলেন রাজনীতির সফল এক প্রদর্শক, আসুন তা নিয়েই আজ আলোচনা করা যাক।
দেশের বাহিরে থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে যখন জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দেশে ফিরলেন তখন তিনি যোগদান করলেন নিজের বড় ভাইয়ের ব্যবসায়। কিন্তু তখনও জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মনে রাজনীতির প্রতি ছিল অবাধ এবং ভালোবাসা। কেননা মাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
এর মাঝে পড়ালেখার কারণে তিনি আর রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে পারেননি। তাই তিনি এখন বড় ভাইয়ের ব্যবসায় যোগদান করার পর আবারো চলে যেতে চাচ্ছিলেন রাজনীতিতে। যার ফলে তিনি বেশি কিছু না ভেবে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ফেলেছিলেন। এখান থেকেই মূলত তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ছিল।
১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান পদে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ সফলভাবে স্বাধীন হওয়ার পরেও আমাদের মহান নেতা হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং থানা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজেকে নিযুক্ত রেখেছিলেন। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়া এবং আনোয়ারা থেকে প্রাদেশিক
পরিষদ সদস্য হিসেবে সিলেক্টেড হন। এরপর ১৯৭১ সালের এই যুদ্ধের নির্মম অবস্থায় প্রয়োজন ছিলো মজবুত এবং সাহায্যের পথ প্রদর্শকের। ঠিক তখনই যুদ্ধের নির্মম পরিস্থিতিতে একজন পরিপক্ক পথ প্রদর্শক হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম এর মহান এই নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
এছাড়াও অনেক বড় বড় পদ পালন করেছিলেন আমাদের মহান নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। রাজনীতিতে এমন মানুষের অস্তিত্ব থাকলেও রাজনীতি একের পর এক চমক প্রধান করতেই থাকবে এবং জনগণের ভালোবাসা বেশ সহজেই কামিয়ে নিতে পারবে।