পৃথিবীতে রাজনীতি শব্দটি সবার মুখে মুখে এসে পড়েছে। কারণ একটি দেশ চালাতে হলে রাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। ধরুন আপনাদের পরিবারের চারজন লোক আছে। তাহলে সেই পরিবারকে পরিচালনা করতে হলে একজন লিডারের প্রয়োজন যে নাকি সে পরিবারটিকে সুন্দর মত করে সাজিয়ে সেটা কে পরিচালনা করেন।
এতেই বোঝা গেল একটি জিনিস সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে একজন লিডার এর দরকার হয়। তাহলে এবার ভাবুন একটি দেশ পরিচালনা করতে কেন আমাদের লিডার দরকার। মূলত এই প্রসেসস টাকেই বলা হয় রাজনীতি।
রাজনীতি দাঁড়াই একজন মন্ত্রী পুরো দেশ পরিচালনা করে থাকে। তাই একটি দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে রাজনীতির গুরুত্ব আবশ্যকীয়। কত মহান মানুষ আছে যারা রাজনীতিতে নিজের চমক দেখিয়ে গিয়েছিলেন। বলতে গেলে এমন অনেক মানুষের নাম আমাদের মুখে আসবে। মূলত যাদের নাম মুখে আসবে তারাই বিখ্যাত এবং মহান। কারণ তারা যদি বিখ্যাত এবং মহান না হতেন তাহলে তাদের নাম কখনোই আমাদের মুখে আসতো না। রাজনীতিতে নিজের চমক দেখিয়েছে বলেই তাদেরকে আজ সবাই মনে রেখেছে।
আমাদের সমাজে এমন একজন মানুষ আছে যার নাম জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। যিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতিতে আসার পরেই চমক দেখিয়েছেন। রাজনীতিতে যোগ করেছেন নতুন এক বিপ্লবী মাত্রা। বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার পর যখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দেশে ফিরলেন তখন আমাদের মহান নেতা তার বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসায় যোগদান করেন ১৯৬৫ সালে।
আসলে জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু তার যৌবনকাল থেকেই রাজনীতিকে ভালোবাসতেন, রাজনীতির প্রতি তাঁর ছিল অবাধ এক মায়া, নিজের দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ছিলো আলাদা এক টান।
মূলত এই সুবাদেই আমাদের মহান নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু স্কুলে পড়াকালীন সময়েই ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মূলত জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর রাজনৈতিক পথচলা এখান থেকেই। নিজের পড়ালেখা সুষ্ঠুভাবে শেষ করার পর যখন ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতেন তখনও জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মন রাজনীতিতে যেয়ে থাকতো, যার ফলে তিনি আবারো যুক্ত হয়ে যান রাজনীতি তেই।
অবশেষে আমাদের কিংবদন্তী নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৬৭ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগ এ। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু”র রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এর যাত্রার সূচনা এখান থেকেই।
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বেঁচে থাকতে নিজের দেশ, জাতি এবং রাজনীতির জন্য যা যা করে দিয়েছেন তা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে নিজের দেশ কে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে নিজের দেশের জাতির জন্য অনেক সুকর্ম করেছেন। রাজনীতির ময়দানে তিনি যা করেছেন তা হয়তো কেউ কখনো করেনি এবং করতে পারবেও না। কারণ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছিলেন হাজারো মানুষের মধ্যে একজন। তার এই বিশেষ কোন ভুলের জন্যই তাকে আজ মহান ব্যক্তি এবং কিংবদন্তী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
যুবসমাজ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর এরকম কর্মকান্ড দেখে খুব বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে এখনো। আসলে আমাদের সবারই তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের জীবনে প্রয়োগ করা উচিত তাহলে আমরাও তার মত সফল একজন ব্যক্তি হবে বলে আশা করা যায়।