কোন মানুষ যদি কোন কিছু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন তাকে বলা হয় উদ্যোক্তা। কিন্তু আপনি কি জানেন একজন সফল উদ্যোক্তা কাকে বলে? ধরুন আপনি একটি বিজনেস খোলার কথা ভাবছেন, এই যে আপনার ভাবনাটা এটাই হচ্ছে আপনার একটি উদ্যোগ। আপনার এই ভাবনাটাকে যদি আপনি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলেই আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। কিন্তু একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।
একজন উদ্যোক্তা ও একজন সফল উদ্যোক্তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। উদ্যোক্তার অভাব নেই কিন্তু সফল উদ্যোক্তার অভাব আছে আজকাল। যে কেউ চাইলেই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারে না তার জন্য লাগে ওদের পরিশ্রম মেধা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা। যা আমাদের মহান নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মাঝে ছিল।
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমনই একজন সফল উদ্যোক্তা ছিলেন যার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আজ সবার মুখে মুখে রয়েছে। কারণ তিনি তার প্রতিষ্ঠানগুলো গর্তে যথেষ্ট পরিশ্রম এবং মেধা খাটিয়েছেন। আসুন সেই সম্পর্কে কিছু জেনে আসা যাক।
১. জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলো
১.১
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমনই একজন মানুষ ছিলেন যিনি যেকোনো কর্মক্ষেত্রেই ছিলেন চতুর এবং চালাক। যার কারণে প্রতিটি কর্ম ক্ষেত্রে তিনি নিজের চমক দেখিয়ে গিয়েছেন। সেটা রাজনীতিতে হোক বা ব্যবসায়। রাজনীতিতে রাজা হওয়ার পাশাপাশি তিনি ব্যবসাতেও ছিলেন চতুর্দশী। যার কারণে সবাই আজ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু কে একজন সফল ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তা বলেন।
১.২
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে তিনি যখন রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তখন তিনি বাটালি রোডে রয়েল ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। নিজের কারখানা দেখাশোনা করার পাশাপাশি তিনি তার বড় ভাইয়ের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন কারণ ওই যে বললাম তিনি চতুর্দশী ছিলেন। কিন্তু জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এখানেই থেমে থাকেননি।
নিজের শ্রম মেধা এবং বুদ্ধি দিয়ে তিনি একে একে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে অন্যতম কিছু প্রতিষ্ঠান নাম গুলো হল –
আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিথেটিক প্রোডাক্ট, আসিফ স্টিল মিল, জাভেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যান আম বনস্পতি ইত্যাদি।তিনি শুধু নিজের দেশেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না বরং তিনি বাহিরের আরামিট মিল নামক একটি কোম্পানি ক্রয় করে সেটিকে নিজের শ্রম এবং দৃঢ় পরিকল্পনা দ্বারা আরো মজবুত এবং শক্ত করে গড়ে তুলেছিলেন।
১.৩
এছাড়া জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খুব বড় অবদান রেখে গিয়েছিলেন। তিনি নিজের উদ্যোগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টর প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন যা আমরা আজ ইউসিবি ব্যাংক নামে চিনি। বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টর প্রতিষ্ঠায় জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন যার সুবিধা ভোগ করছেন সাধারণ জনগণ সহ দেশের সকল বড় বড় মানুষেরাও।
সুতরাং একেই বলা হয় একজন সফল উদ্যোক্তা। জীবনে শুধুমাত্র উদ্যোক্তা হওয়া টা খুব বড় কিছু নয়, একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারলে সেটাই হবে জীবনের একমাত্র সাফল্য।
উদ্যোক্তা তো সবাই হতে পারে কিন্তু আপনি যদি জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মত একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেখাতে পারেন তাহলেই সমাজ আপনাকে জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মতই গণ্য করবে।