একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জনগণের খুবই প্রিয় ও অতি কাছের মানুষ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালের পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে। ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ছোট্ট ছেলেটি যে একদিন দেশের জনগণের মনে মনে রাজ করবেন এবং বাংলা কে করে তুলবে গৌরবোজ্জ্বল তা কেউ কখনোই কল্পনাও করেনি। রাজনীতিতে তিনি অনেক অনেক চমক দেখিয়েছেন।
তিনি যখন রাজনীতিতে নিজের দায়িত্ব অথবা পদগুলো পালন করা শুরু করেছিলেন তখন তিনি বেশ মনোযোগ সহকারে নিজের কাজগুলো করতেন যার ফলে তার প্রতিটি কাজে সফল ভাবে সম্পন্ন হতো এবং জনগণ তাকে এই কারণে এতটা ভালোবাসতো।
বাংলাদেশের একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করাতে খুব বেশি সময় নেননি আমাদের মহান নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। আওয়ামী লীগে জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অনেক বেশি অবদান রয়েছে। তিনি বেঁচে থাকতে এই দল এবং দেশের জাতির জন্য নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে গিয়েছেন।
বাল্যকাল থেকেই জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নিজের দেশের প্রতি আলাদা এক টান ছিল অন্যরকম এক মায়া অনুভুতি হতো তার। এই মন মানুসিকতা ছিলো বলেই জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু মাধ্যমিক এ অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যেটা তার রাজনৈতিক জীবন এর যাত্রা শুরুর প্রথম স্টেপ ছিল।
মহান এই নেতা যৌবনকাল থেকেই রাজনীতিকে ভালোবাসতেন। নিজের পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতে করতে তিনি আবারো যুক্ত হয়ে যান রাজনীতি তেই। কারণ মনের টান এবং দেশের প্রতি ভক্তি তো আর কমেনা। যে ব্যক্তিটি যেই জিনিসে নেশাভূক্তি ভাগ্য তাকে সেই জিনিসেই বারংবার টেনে নিয়ে আসে। অবশেষে আমাদের মহান এই নেতা এবং কিংবদন্তি লিডার ১৯৬৭ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগ এ। এই থেকেই শুরু হয় স্থায়ীভাবে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
সফলভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪ বছর পর বাংলায় ঘরে বসে এক নির্মম দুর্ঘটনা। ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। যার ফলে বাঙালি মানুষের মনে উঠে এসেছিল শোকের এক ঢেউ। তখনই আমাদের সাহসী নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে দলের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনে বেশ স্মরণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট জেলা চট্টগ্রামে আন্দোলন সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন আমাদের মহান নেতা, ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগেকে সংগঠিত করতে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অবদান অবিস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু যথেষ্টভাবে
আদর্শিত হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তিনি পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোটাই ছিলেন একজন শক্ত দেশ প্রেমিক। সোনার বাংলা গড়াই ছিল তার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। তারমানে অধ্যাবসায় জিনিসটি ছিল বলেই তিনি এতকিছু করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নিজের সারাটি জীবন রাজনীতির জন্য অনেক কিছু করে গিয়েছে যা আমরা চেয়েও আজও ভুলতে পারি না কারণ তার কাজ গুলো সবই ছিল অবিস্মরণীয়।